ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিগগিরই ৫০০ ইটভাটা বন্ধ করছে সরকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪০ বার

ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের একটি কর্মসূচি আছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিষয়ে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেবে। প্রাথমিক ভাবে ৫০০ ইটভাটা বন্ধ করার প্রক্রিয়াা শুরু করেছি।’ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইটভাটাগুলো শুধু বন্ধ নয়, যাতে পরবর্তীতে আর চালু না হতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা না নিয়ে ভাটা বন্ধ করি, পরে আবার চালুও করা হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ফেনীর ইটভাটাগুলো নিয়ে আমি যতটুকু জানি। যখন ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়, তখন কোনো বসতি আশপাশে ছিল না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন হয়ে গেছে।

এসব কারণে ইটভাটাগুলো নবায়ন দেয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা ব্লকের প্যাকেজের দিকে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, এখানে যারা ভাটার মালিক রয়েছেন, তারা সরকার থেকে প্যাকেজ গ্রহণ করে ব্লকের দিকে যাবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা কয়টা ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করলাম, এখন আমরা এই আলোচনায় থাকতে চাই না। আমরা চাইব, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক। সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্লক তৈরী শুরু করুক। ব্লকের দুইটা সুবিধা আছে, একটা হচ্ছে এখানে কোনো কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না, আরেকটা হচ্ছে ব্লক তৈরিতে কোনো বায়ু দূষণ হয় না।’

নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সরকার জলদার রক্ষায় ডিজিটাল ম্যাপিং করছে। এর মাধ্যমে আমাদের সবগুলো, নদী, জমি, খাল ও জলদার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারব। এরপর এর মনিটরিংটা আমরা ভালোভাবে করতে পারব।

দূষণের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কোন স্থানে কি পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়, আমাদের পৌরসভার সক্ষমতা কি? এসব বিবেচনা করে বর্জ্য রিসাইকিলিংয়ের ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে শুধু সমস্যার কথা বলতে চাইনা। সমাধানে কাজ করতে চাই।

এ সময় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরা কলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিগগিরই ৫০০ ইটভাটা বন্ধ করছে সরকার

আপডেট টাইম : ১০:১৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইটভাটা নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের একটি কর্মসূচি আছে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিষয়ে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেবে। প্রাথমিক ভাবে ৫০০ ইটভাটা বন্ধ করার প্রক্রিয়াা শুরু করেছি।’ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ইটভাটাগুলো শুধু বন্ধ নয়, যাতে পরবর্তীতে আর চালু না হতে পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা না নিয়ে ভাটা বন্ধ করি, পরে আবার চালুও করা হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ফেনীর ইটভাটাগুলো নিয়ে আমি যতটুকু জানি। যখন ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়, তখন কোনো বসতি আশপাশে ছিল না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন হয়ে গেছে।

এসব কারণে ইটভাটাগুলো নবায়ন দেয়া হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা ব্লকের প্যাকেজের দিকে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, এখানে যারা ভাটার মালিক রয়েছেন, তারা সরকার থেকে প্যাকেজ গ্রহণ করে ব্লকের দিকে যাবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা কয়টা ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করলাম, এখন আমরা এই আলোচনায় থাকতে চাই না। আমরা চাইব, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক। সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্লক তৈরী শুরু করুক। ব্লকের দুইটা সুবিধা আছে, একটা হচ্ছে এখানে কোনো কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না, আরেকটা হচ্ছে ব্লক তৈরিতে কোনো বায়ু দূষণ হয় না।’

নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সরকার জলদার রক্ষায় ডিজিটাল ম্যাপিং করছে। এর মাধ্যমে আমাদের সবগুলো, নদী, জমি, খাল ও জলদার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারব। এরপর এর মনিটরিংটা আমরা ভালোভাবে করতে পারব।

দূষণের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কোন স্থানে কি পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়, আমাদের পৌরসভার সক্ষমতা কি? এসব বিবেচনা করে বর্জ্য রিসাইকিলিংয়ের ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে শুধু সমস্যার কথা বলতে চাইনা। সমাধানে কাজ করতে চাই।

এ সময় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরা কলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।